যদি ভুলে যাই
-অপর্ণা রায়
যদি ভুলে যাই,
তবে মনে কোরো-কোনো এক বিস্মৃতির অন্ধকার -ওপারে
হারিয়ে গেছি আমি।
যেখানে চাওয়া -পাওয়া ,হা-হুতাস তুমি, আমি কিছু নেই।
ষেথা-
কাউকেই কোনদিন খুঁজে বেরানোর প্রয়োজন,কারো কাছে কখনোই নয় ততো দামি!
বাঁকা হাসি হেসে হয়তো কোনো সন্দেহ কবে-
কঠিনের ভয়ে ভীত ,দায়বদ্ধ জীবন থেকে পালিয়েছি আমি।
তুমি তো জানলেনা –
ঊষর বাস্তবের বুকে গড়েছিলাম কত স্বপ্নের মহল ,দিন গুলো ছিল ঝলমল।
একদিন চেয়ে দেখি -তুমি পাশে নেই!
ব্যাথার বেদনে ,অশ্রু যমুনা পারে, আমার স্বপ্নের হল সমাধি মহল।
বিশ্বাসগুলো যবে ভুল হয়ে-একেএকে ঘিরে ধরে পাশ –
তখনই বুঝেছি-
কতশত আলোকবর্ষ দুরে ,
বহু দুরে চলে গেছ তুমি।
মরিচিকাময় চলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে, হয়রান হয়ে কত খুঁজে -খুঁজে আজ-
বড়ো ক্লান্ত হয়েছি।
আমাকে বিদায় দিয়ে ,
কেন চলে গেলে?
তুমি কি এতটুকু বুঝলেনা!
-তোমাকে ছাড়া কত অসহায় এ প্রাণ,
এলোমেলো স্মৃতিময় মুহুর্তগুলোত-কান্নায় ভেঙে পরে ,শুন্য পানে প্রশ্ন তোলে-
কেন এমন হোলো?
মাধুর্য্যহীন অসুন্দর নিষ্ঠুর জীবনের কষাঘাতে –
অনর্গল নীলবিষে আচ্ছন্ন্ হৃদয়।
মহাশূন্যে ভারশূন্য দেহতরী,
তোমাকে হারায়ে -খুঁজে দিশাহীন,
গভীর অন্তরালে বিস্মৃতির ছায়াপথে,
আজ সেই “আমিটারই” শেষ -অস্তিত্ত্ব বিলীন।
মন ছুঁয়ে গেল দিদি৷বড় বিষাদের কবিতাখানি৷